News update
  • Magura rape victim buried; prime accused’s house torched     |     
  • Chuadanga hits season's highest temp amid mild heat wave     |     
  • 2007 Project Set to Complete in 2025      |     
  • Canada, EU swiftly retaliate against Trump's steel, aluminum tariffs     |     
  • Report sensitive events responsibly: Police HQ urges media     |     

২০২৬ সালেই এলডিসি থেকে উত্তরণ হবে বাংলাদেশের 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2025-03-13, 8:32pm

img_20250313_202918-2ab3b1b422952832dc5c002ebe0af3111741876368.jpg




বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উত্তরণের নির্ধারিত সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থাৎ পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী বছরই এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত, ২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে। এজন্য যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে, তা মোকাবিলা করার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এতে বাংলাদেশের মর্যাদাও আরও বৃদ্ধি পাবে।

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের দিন ঠিক করা আছে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এর আগে বলেছিল, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিসংখ্যান নিয়ে কারসাজি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করবে কি না তা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ‘ভাবছে’।

এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছিলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের সময় পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।

ওই বক্তব্যের একদিন পরই সরকার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা জানাল।

১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ২০১৮ সালেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করে বলে জাতিসংঘ থেকে জানানো হয়।

মাথাপিছু জাতীয় আয় ১ হাজার ২৫ ডলারের নিচে থাকলে সে দেশ এলডিসিভুক্ত হয়, এ আয় ১২৩০ ডলার অতিক্রম করলে ধাপ উন্নয়নের যোগ্যতা অর্জন হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে এই আয় দাঁড়ায় দুই হাজার ৭৪৯ ডলার।

২০১৮ সালে মানব সম্পদ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ৭২। এক্ষেত্রে ৬২ পর্যন্ত দেশগুলো এলডিসিভুক্ত, ৬৪ ছাড়ালে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জিত হয়। এই তালিকাতেও বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নতি হচ্ছে। ২০২০ সালের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৩। পরের বছর ১৯১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ উঠে আসে ১২৯তম।

জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সার্ভে ২০২৪ অনুযায়ী, গত বছর ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০০তম। আগের বছর ছিল ১১১তম।

অর্থনৈতিক ঝুঁকির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২০১৮ সালে ছিল ২৫ দশমিক ২। এই পয়েন্ট ৩৬ এর বেশি হলে এলডিসিভুক্ত হয়, ৩২ এ আনার পর উন্নয়নশীল দেশে যোগ্যতা অর্জন হয়।

২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে গত বছরের ৪ থেকে ৮ মার্চ জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বা সিডিপির পর্যালোচনা বৈঠকে বলা হয়, এলডিসি থেকে উত্তরণ হয়েছে কিংবা হওয়ার পথে রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই টানা তিনটি মূল্যায়নে সব সূচকে পাস করেছে।

বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ইউরোপের রপ্তানি বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়ে এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে সেই সুবিধা আর থাকবে না।

আরটিভি